মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর লোকেরা বিভিন্নভাবে বিদেশে যাচ্ছেন। বিদেশ থেকে তারা অবৈধভাবে হুন্ডির মাধ্যমে বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে অর্থ পাঠাচ্ছেন।
বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) কোস্ট ফাউন্ডেশন ও কক্সবাজার সিএসও-এনজিও ফোরাম (সিসিএনএফ) আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল এক সেমিনারে এ তথ্য উঠে এসেছে।
কোস্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, প্রত্যাবাসন ছাড়া রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে অন্য উপায় নেই।
আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর উচিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের সত্যিকার উদ্যোগ নেওয়া।
রোহিঙ্গা ডায়াসপোরা কমিউনিটি (অভিবাসী সম্প্রদায়) এ বিষয়ে ভূমিকা রাখতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীতে জন্ম নেওয়া হাফসার তমিসুদ্দিন এখন রয়েছেন নিউজিল্যান্ডে। তিনি এশিয়া প্যাসিফিক রিফিউজি রাইটস নেটওয়ার্কের (এপিআরআরএন) মহাসচিবের দায়িত্বে রয়েছেন।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের মংডু ও বুথিডংয়ে এখনও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। তা আন্তর্জাতিক মহল জানে না। অন্যান্য দেশের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের নিয়ে আলোচনায় যেন স্বচ্ছতা থাকে, তা আমরা চাই।
ফাউন্ডেশন ফর ডিজাস্টার ফোরামের সদস্যসচিব গওহার নঈম ওয়ারা বলেন, বাংলাদেশও রোহিঙ্গাদের শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারে। শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দিলে বাংলাদেশের লাভ আছে। প্রবাসী রোহিঙ্গা শরণার্থীরা হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠান। স্বীকৃতি থাকলে তারা ব্যাংকের মাধ্যমে বৈধপথে টাকা পাঠাতে পারতেন। এতে বাংলাদেশের ফরেন রিজার্ভ বাড়ত।
নেপালের ইনহারিড ইন্টারন্যাশনালের গোপাল শিয়াকোটি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নিজেদেরই অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তার ওপর এতে বড় জনসংখ্যাকে আশ্রয় দেওয়া অনেক বড় মহানুভবতা।
কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্সে ব্র্যাক পরিচালিত পুল ফান্ড এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য ২৫ শতাংশ বরাদ্দের স্বচ্ছতা দাবি করেন।
নারীপক্ষের শিরীন হকের সভাপতিত্বে এবং কোস্ট ফাউন্ডেশনের রেজাউল করিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় দেশি-বিদেশি শরণার্থী বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। সেমিনারে মূল বক্তব্য পাঠ করেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের বরকত উল্লাহ মারুফ।
পাঠকের মতামত